INTRODUCTION

Rashed Latif

মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান। যিনি রাশেদ লতিফ নামে অধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ালেখার সময়ে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে পদার্পণ করেন মেহেরপুর-মুজিবনগরের এই কৃতি সন্তান। তারুণ্য, সুদৃঢ় ব্যক্তিত্ব, নিষ্কলুষ ভাবমূর্তি, পরিচ্ছন্ন মানসিকতা, প্রতিশ্রুতিশীল একজন উদীয়মান বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ তিনি । পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৯, বরাদ্দকৃত নির্বাচনী প্রতিক উড়োজাহাজ মার্কা নিয়ে মাত্র ২৭ বছর বয়সে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মেহেরপুর সদর উপজেলাতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক জগতে তার অভিষেক হয় ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ইং মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী হওয়ার মধ্য দিয়ে। রাজনীতিবিদ হওয়ার স্বপ্ন ও ইচ্ছা নিয়েই তিনি বেড়ে ওঠেন। শৈশব থেকে ছিলেন উদ্যমী ও লেখাপড়াতে উজ্জ্বল মেধাবী। ভীষণভাবে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত হন মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের গল্পে। ছোটবেলাতে ৭ই মার্চের ভাষণ তাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। দাদা আলাউদ্দীন শেখ ছিলেন তৎকালীন সুবেদার। দাদার মেজভাই লিয়াকত শেখও পুলিশ বাহিনীতে উচ্চপদস্থ চাকুরী করতেন। দাদী গোলেজান বিবি, হামেজউদ্দীন হালসনার ২ ছেলে ও ৭ মেয়ের মধ্যে বড়।

BIOGRAPHY

রাশেদ লতিফ প্রাইমারী শিক্ষা জীবনে ছিলেন ফার্স্ট বয়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ২২ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে জেলার সব স্কুল মিলিয়ে দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নেয়। রাশেদ লতিফ নতুনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগীতা ১৯৯৭ অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে ক বিভাগে ২য় পুরস্কার, দেশপ্রেম কবিতা আবৃত্তি করে খ বিভাগে ৩য় পুরস্কার ও গ বিভাগে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগীতাতে ১ম স্থান অধিকার করে পুরস্কার লাভ করেন।

জাতীয় শিশু মৌসুমী প্রতিযোগীতা ১৯৯৮ বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মেহেরপুর সদর থানা ও জেলা পর্যায়ে দেশাত্ববোধক জারি গানে পর পর দুবার ১ম স্থান অধিকার করে খুলনা বিভাগে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। যদিও সে প্রোগ্রামে তার যাওয়া হয়ে ওঠেনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদিচ্ছার অভাবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস ১৯৯৯ ক বিভাগে উপস্থিত বক্তৃতাতে ২য় স্থানে সনদপত্র গ্রহণ করেন। যেমন খুশি তেমন সাজো তে , মাথাল মাথায়, কাচি হাতে, কোমরে গামছা বাধা, পরনে লুঙ্গি ও ছেড়া গেঞ্জি গায়ে কৃষকের ভূমিকায় ১ম স্থান অধিকার করেন। খুশি হয়ে সে সময়ের জেলা প্রশাসক মহোদয় কামরুল ইসলাম তাকে পাঁচশত টাকা বকশিস দিয়েছিলেন।

তাকে ৫ম শ্রেণীতে কাব হলিডে (২০০০) অংশগ্রহনের সনদপত্র হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ স্কাউটস মেহেরপুর সদর উপজেলা। মেধা তালিকায় চান্স পেয়ে ভর্তি হন মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। ক্লাসে মনিটর নির্বাচিত হলেন। ৭ম শ্রেণীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, মেহেরপুর আয়োজিত আযান প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেন। তার বাবা মোঃ আব্দুল লতিফ তার জন্মের পরেই পুলিশের চাকরী ছেড়ে এসে রায়পুরে হালিম মোল্লার ইটভাটা-গর্তগুলো পুকুর বানিয়ে মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু ওপরবৃষ্টি ও ঘনঘন বন্যার ফলে ব্যবসাতে তেমন কোন উন্নতি লাভ করতে পারেননি। বিএনপির আমলে আরোও ব্যবসায়িক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হন নানান কারণে । আত্মীয় ফজলুল হক মুহুরী দ্বারা (তার মায়ের আপন মামা ও তার বাবার আপন খালু) জমি জালিয়াতি, সাংসারিক অর্থকষ্ট, পারিবারিক অশান্তির কারণে পড়াশুনা বন্ধ থাকে ১ বছর।

১১ জানুয়ারী ২০০৭ পরবর্তী সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন এর সান্নিদ্ধে পৌঁছান। ২০০৭ সালে এসএসসি তে অনুমান যে, প্রাকটিক্যালে কম নম্বরের জন্যে তিনি জীববিজ্ঞানে ফেল করেন। বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। ২০০৮ সালে ঢাকা এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল কলেজে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। ২০০৯ সালে তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে আইলা দুর্গতদের জন্যে ত্রাণ বিতরণ করতে সাতক্ষীরা জেলায় যান। কলেজ জীবনে সরাসরি উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি তার প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে শুরু করেন।

২০১০ সালে ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-ইউনিট ও ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দেন। পছন্দের বিষয় না পেয়ে পত্রিকাতে সার্কুলার দেখে ২০১১ শিক্ষাবর্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রথমে সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজে তার নাম রেজিস্ট্রেশন হয়। দ্বিতীয় বর্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী) শরণাপন্ন হয়ে তিনি উপাচার্য প্রফেসার ড. সুরঞ্জন দাস ও বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার কলকাতা আবিদা ইসলাম এর যৌথ সমন্বয়ে এবং শিক্ষামন্ত্রী (প: ব:) শ্রী ড. পার্থ চ্যাটার্জির বিশেষ সহযোগিতায় হাজরা ক্যাম্পাসে এনরোলমেন্ট ট্রান্সফার নেন। ড. শুভ্রাংশু শেখর চ্যাটার্জি তখন হেড, ডীন ও সেক্রেটারী ছিলেন।

১৫ই জানুয়ারী ২০১৩ রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে (RBI) তদ্ববির করে (SBI) কলেজ স্ট্রীট শাখাতে তিনি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলেন। চেকবই, ATM কার্ড, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড ব্যবহার করেন। এই সুবিধা ইত:পূর্বে কোন বাংলাদেশি ছাত্র ভারতে পায়নি। ২রা মাঘ ১৪১৯ বুধবার (১৬ই জানুয়ারী ২০১৩) বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কে তার প্রচেষ্টায় কারমাইকেল হলে বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ, লাইব্রেরিয়ান, এক্সাম কন্ট্রোলার। নোটিফিকেশন সিডিউল মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় কারমাইকেল হল মেস কমিটি ২০১৩ ইলেকশনে নমিনেশন পেপার উত্তোলন ও জমা দিতে বাধা দেন হল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইশারাত আলী মোল্লা। আইনগত অধিকার প্রশ্ন তুলে ৬ ফেব্রুয়ারী তিনি লিখিত আকারে সহ উপাচার্য (শিক্ষা) মহাশয়কে চিঠি দিয়ে আবেদন জানান । বোর্ড অব রেসিডেন্সের সেক্রেটারী অসিত কুমার রুদ্রপাল ন্যায্য হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা করেন। যদিও সে সময় ইলেকশন না হয়ে সিলেকটেড কমিটি হয়েছিলো। রাশেদ লতিফ জাতীয় কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের সভাপতি শ্রী আশুতোষ চ্যাটার্জির আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। রাজনীতি ও কূটনীতিতে সমান পারদর্শী এই ছাত্রনেতা পরে রমিত রায় চৌধুরীর মাধ্যমে তৃণমূল দলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখাতে যোগ দেন এবং TMCP সভাপতি শঙ্কুদেব পান্ডার অনুগত ও সহচরী হয়ে ওঠেন। রাশেদ লতিফ প্রচলিত এই নামে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরোও বেশি আলোচিত হতে শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক স্তরে তার প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার লাভ করতে থাকে । এদিকে বহুল আলোচিত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকার। যেহেতু রাশেদ লতিফ শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন, তাই ঈর্ষাবশত ও স্বার্থের কারণে দলে তার নামে কানভারী করানো হয়। গ্রুপিংয়ের শিকার হয়ে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

৫ম সেমিস্টার সেকশন জে ক্লাস রোল ৬২ রাশেদ লতিফ ৭ জানুয়ারী ২০১৪ নমিনেশন ফর্ম জমা দেন স্ক্রুটিনি হেড প্রফেসার ড. সাচী চক্রবর্তী মহাশয়া’র নিকট। ইলেকশন শেষ হয় ২৮ জানুয়ারী ২০১৪ মঙ্গলবার। এই ইলেকশনে তিনি পরাজিত হন। পরিকল্পিতভাবে তাকে হারানো হয় বামফ্রন্ট ঘরানার একটি মেয়েকে প্রার্থী করে। যে ছিলো আইনের ছাত্রী ও গর্ভবতী। তখন ‘ল’ ফ্যাকাল্টিরই সিনিয়র ছাত্র প্রান্তিক চক্রবর্ত্তী কে CS বানানো হলো। ৩০ জানুয়ারি দল থেকে কলকাতা ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার ডাক আসে। ইউনিয়ন রুমে মোবাইল SMS কান্ডকে ইস্যু বানিয়ে রাশেদ লতিফ কে বিতর্কিত করা হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে তার বিরুদ্ধে হুইসপার ক্যাম্পেইন চলতে থাকে। তারপর তিনি সকল বিতর্ক এড়িয়ে সতর্কভাবে চলাফেরা করতে থাকেন । ছাত্র সংসদ ভোটে কুনাল সামন্ত GS (২০১৩-১৪) হলো, পরের বছর সৌরভ অধিকারী GS, পরের মেয়াদে লগ্নজিতা চক্রবর্তী GS হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। মেয়েটি কলেজ স্ট্রীট ক্যাম্পাসে যে ধরনের সিনক্রিয়েট করেছিল যা গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখরোচক গসিপ হিসেবে চর্চা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ স্পীকার কার্যালয়ে ঢাবি আইন অনুষদের নেতা শরিফুল শুভ কে সাথে নিয়ে ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সাথে দেখা করেন মার্চ মাসে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্দেশ্যে বিপ্লব হাসান পলাশ ভাইয়ের জন্যে বিভিন্ন অফিসে তদ্ববির ও সুপারিশ নিয়ে ছুটে বেড়ান। ১৯ মে ২০১৪ মুজিবনগরে আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। তার সাথে এ্যাডভোকেট আব্দুস সালামকে সার্কিট হাউজে পরিচয় করিয়ে দেন ও একসাথে মধ্যাহ্নভোজ করেন।

১০ জুন ২০১৫ ই-মেইল বার্তা আসে ডেপুটি সেক্রেটারী সোমা দেব গভর্নরস্ সেক্রেটারীয়েট রাজভবন আগরতলা থেকে। মান্যবর গভর্নর শ্রী তথাগত রায় মহাশয়ের সম্মতি ও আমন্ত্রণে ১৫ জুন সোমবার সাবেক এমপি প্রফেসার আব্দুল মান্নান ও আব্দুর রউফ এমপি, কুষ্টিয়া ৪ সহ সৌজন্য সাক্ষাত ও সেখানে অতিথীশালাতে ৩ দিন অবস্থান করেন। পরবর্তীতে মান্যবর গভর্নর কুষ্টিয়া জেলার শিলাইদহে আসেন এবং কুষ্টিয়া চৌড়হাস মোড়ে একটি ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন । সেন্ট্রাল এভিনিউ মহাজাতি সদনে ২৮ আগষ্ট ছাত্র পরিষদের ৬২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব। অনুঘটক হয়ে তিনি জনাব আমির হোসেন আমু কে বিশেষ অতিথি হিসেবে আয়োজক পক্ষ থেকে নিমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন জুলাই মাসে। জয়েন্ট কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশন জনাব হায়দার আলীকে হল সুপার পদ থেকে সরানোর জোর বিরোধিতা করেছিলেন রাশেদ লতিফ। প্রতি বছর ফেল করা ইলিয়াস আক্তার নামে সিনিয়র অ্যারাবিক ছাত্র হল সুপার ইশারাত আলী মোল্লার মদতে নানা অসঙ্গতিপূর্ণ কর্মকা- করতে শুরু করে। এদের যোগসাজসে বোর্ড অব রেসিডেন্সের সেক্রেটারী নিশাত আলম ৬ আগষ্ট অন্যায্যভাবে তাকে কারমাইকেল হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেন। ফার্সি ও অ্যারাবিক বিভাগের প্রধান ইশারত আলী মোল্লা হল সুপার পদে পাকাপোক্ত থাকার অভিপ্রায়ে, সিনেট বডির সদস্য হওয়ার বদৌলতে ৪ সেপ্টেম্বর রি-এ্যাডমিশন আটকানোর অপচেষ্টায় সিন্ডিকেট মিটিংয়ে খামখেয়ালী পূর্ণ একটি রেজ্যুলেশন তৈরী করেন। এই চক্র যে অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরে তা পরিষ্কার হয়েছিলো। ইফতার পার্টিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের অনুপ্রবেশ কারমাইকেল হলের ঐতিহ্যের পরিপন্থী তা সত্ত্বেও শুরু হয় CPI(M) এর লোকজনের আনাগোনা। ট্যুরের টাকা নিয়ে হিসাবের গড়মিলে হল থেকে অবাঞ্চিত হয় ইলিয়াস আক্তার। এডুকেশন কনস্যুলার ওমর ফারুখ চৌধুরীর স্বাক্ষরে উপদূতাবাসের সুপারিশমূলক চিঠি ও শিক্ষামন্ত্রীর (প:ব:) টেলিফোনকে মান্যতা দিয়ে অনুরোধসূচক পরামর্শ দেন নবাগত উপাচার্য সুগত মারজিৎ যে, বেকার হোস্টেল (যেখানে শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রাবস্থায় থাকতেন) ঠিক তার পাশেই ওয়ালিউল্লাহ হলে শিফট হতে। সে কথা তিনি বিনা বাক্যে শ্রদ্ধাবনত হয়ে মেনে নেন। এতে বেশি লাভবান হন GS সৌরভ অধিকারী। তার যে ক্ষমতা ও দাপট তা জাহির হয়। পরে এর কুফল ও তাকে ভোগ করতে হয়েছে। শিক্ষকের সাথে অসদাচরনের পর আতœগোপনে চলে যেতে হয়েছিলো তাকে। বকলমে ইউনিয়ন চলে ছাত্রনেতা কাইয়ুম মোল্লার ইশারায়। কারমাইকেল হল (মুসলিম ছাত্রাবাস-হিন্দু এরিয়া) থেকে ওয়ালিউল্লাহ হল (হিন্দু ছাত্রাবাস-মুসলিম মহল্লা) সেখানে বদলি হওয়াতে ইশারাত আলী মোল্লা স্বস্তি পেয়ে মহা খুশি হয়েছিলেন। রাশেদ লতিফ তাঁকে বলেছিলেন ‘স্যার মনে রাখবেন মহানবী (সঃ) মক্কা থেকে মদীনা হিযরত শেষে তাঁর জন্মস্থান বিজয় লাভ করেছিলেন। খুব শীঘ্রই দেখা হবে।’ অবশ্য বেশিদিন হল সুপার সেখানে টিকতে পারেননি। ছাত্র সংসদের ১ম সভাপতি বকুল বিশ্বাস হল কেন্দ্রিক রাজনীতি নিজের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে নেন। নতুন হোস্টেলে আশিস মজুমদার, সৌমেন্দ্রনাথ মিশ্র ও রামু কুমার দাস মিলে তার খাবারের থালা-বাটি অত্যন্ত চাতুরতার সাথে আলাদা করে দেয়। তিনিও এসব জাত-পাত প্রথা কুসংস্কার মৌনভাবে মেনে নিয়ে অভ্যস্থ হয়ে ওঠেন। সবার মন জয় করে তিনি আপন হয়ে ওঠেন সকলের। পরবর্তী সময়ে তারই থালা-বাসনে ছাত্রনেতারা বাংলাদেশি খাবার খেতে শুরু করেছিল।

রাশেদ লতিফ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালের আগষ্টে আইন বিষয়ক বি.এ, এলএল.বি (৫ বছর) ¯স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে ভারত থেকে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি টিম ঢাকাতে আমন্ত্রিত হয়ে আসেন। পার্থ চট্টোপ্যাধায় (তৃণমূল কংগ্রেস), অভিজিৎ মুখার্জি (জাতীয় কংগ্রেস) ও রূপা গাঙ্গুলী (বিজেপি) বিমান বসু (বামফ্রন্ট) এদের সাথে সাহিদুজ্জামান খোকনের (গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বর্তমান এমপি) পরিচয় করিয়ে দেন সোনারগাঁও হোটেলে। তারপর রাশেদ লতিফ ভিসা জটিলতার সম্মুখিন হন। ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ তার হয়ে জেয়াদ আল মালুম (এ্যাডিশনাল এটর্নি জেনারেল-ICT) ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঢাকা পলিটিক্যাল কনস্যুলার নিনাদ দেশপান্ডে কে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্যে সুপারিশ করে চিঠি দেন। তাকে সিঙ্গেল এন্ট্রির দুই মাসের ভিসা দেওয়া হয়। তিনি ভিসা এক্সটেনশন করেন পরে পেনাল্টি দিয়ে ওভার স্টে করার সুযোগ কাজে লাগান। প্রফেসার জে.কে দাস এর দেশবৈষম্যমূলক মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাশেদ লতিফ পদক্ষেপ নেন। উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিকাশভবন, রাজভবন কলকাতা, বাংলাদেশ উপদূতাবাস কলকাতা, বিদেশমন্ত্রক এর তৎপরতায় এবং ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি শ্রী প্রণব মুখার্জি মহাশয়ের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসার ড. আশুতোষ ঘোষ সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষ অধ্যাদেশ বলে আইনে ¯œাতকোত্তর এল.এল.এম (২ বছর) কোর্সে ভর্তির অনুমতি আদেশ দেন। ২৫ এপ্রিল ২০১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ৪৫ জনের মধ্যে তিনিও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে লেখাপড়া করার সৌভাগ্য সুযোগ অর্জন করেন। ১৩ জুন বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে টেকনোলজি হোস্টেলে ভর্তি হন। ১৭ আগষ্ট ২০১৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন অডিটরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার ৪২ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে DU ও CU মিলে তার উদ্যোগে আলোচনা সভার অনুষ্ঠান আয়োজন হয়। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার, জাতীয় কংগ্রেস পশ্চিমবাংলা রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি শ্রী আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব শ্রী ড. পার্থ চ্যাটার্জি, মাননীয় মূখ্যমন্ত্রীর সাথে আকস্মিক জরুরী কাজ পড়ে যাওয়ায়, আসতে না পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ফ্যাক্সে শুভেচ্ছা বার্তা ও বাণী প্রেরণ করেন। এ অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক (সোহাগ-জাকির) ও বর্তমান (শোভন-রাব্বানী) সভাপতি, সাধারন সম্পাদক। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন ঢাবি আইন অনুষদের ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল শুভ। VC আ.আ.ম.স আরেফীন সিদ্দীক স্যার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। ছিলেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাড. মোল্লা আবু কাউসার। ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর ১২৮ তম জন্ম জয়ন্তী তিথিতে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে তাকে ছাত্রনেতা হিসেবে সম্মাননা ক্রেষ্ট দেয় পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাইমারী টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন। ‘ল’ ফ্যাকাল্টি থেকে নোটিশ বোর্ডে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ LLM পার্ট I ও II পরীক্ষার জন্যে অক্টোবর ২৫,২৭,৩০ তারিখ ও নভেম্বর ০১,০৩ তারিখ পরীক্ষার দিন নির্ধারিত হয়। অভিযোগ বা কোন সতর্কতা ছাড়াই আচমকা মৌখিক ভাবে রহস্যমন্ডিত আপত্তি তুলে ১৭ অক্টোবর ২০১৭ FRRO স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, (ভারত সরকার) মাত্র ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়ে তাকে লিভ ইন্ডিয়া নোটিশ দেয়। ধারণা করা হয় লোকসভার নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধার আশংঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতার সম্ভাবনার জন্যেই এমন সিদ্ধান্ত। স্বপ্নের লেখাপড়া অসমাপ্ত রেখে বাংলাদেশে এসে তিনি নিজেকে রাজনৈতিক অঙ্গণে উন্মোচন করেন। দলের সিদ্ধান্ত শৃঙ্খলার প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য আর অসামান্য প্রজ্ঞা তাকে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় করে তোলে। ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য স্বীকৃতি লাভ করার জন্যে জেলা ছাত্রলীগের একাংশ সহ শতশত ছাত্র নিয়ে ২৫ নভেম্বর ২০১৭ আনন্দ শোভাযাত্রা দেন এবং সামসুজ্জোহা পার্কে জমায়েত হন। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ সাবেক এমপি জননেতা জয়নাল আবেদীন এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে গ্রাম ভিত্তিক জনসংযোগ করতে শুরু করেন।

১৭ জানুয়ারী ২০১৮ শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাথে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সভাপতি, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন এর সাথে আলাপ পরিচয় করিয়ে দেন ও সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি ফেইসবুকে প্রকাশ করেন। ২১ জানুয়ারি শহরের কলেজ মোড়ে তাঁতীলীগের মঞ্চে উঠে আসন গ্রহণ ও উজ্জ্বীবিতমূলক, উদ্দীপনা ভরপুর বক্তৃতা দেন। ২রা ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলাব্যাপী সাংগঠনিক সফরে সামসুজ্জোহা পার্ক সরকারের সাফল্য-উন্নয়ন তুলে ধরে সুসজ্জিত করেন। ১১ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়ার জেল ডাকা হলে সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরদেরকে সাথে নিয়ে অবস্থান ও নাশকতার বিরুদ্ধে সতর্কতা নেন। বিভিন্ন কলেজে স্বরস্বতী পূজার পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ১৭ মার্চে ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নায়েম এর মাধ্যমে টুঙ্গিপাড়াতে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে করমর্দন করেন। শেখ তন্ময় (বর্তমান সংসদ সদস্য) এর সাথে হাস্যোজ্জল সেল্ফি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন। ২৪ মার্চ ২০১৮ মেহেরপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ২৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভাতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পান। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও ব্যাপক প্রস্তুতি নেন এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বঙ্গবন্ধু তোরণ করে দেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১০ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভারত শাখা কমিটি দেয় (রিক্ত-রাহেক পরিষদ)। ১১ মে ২০১৮ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ জেলাব্যাপি ফেস্টুন প্রচার করেন । ১৭ মে জেলা যুবলীগের মিছিলে ১ম সারিতে পা মেলান। ১৯ রমজান ০৪ জুন ২০১৮ গণভবনে ইফতার দাওয়াতে যান। ২৫ জুলাই ২০১৮ দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে প্রত্যেক অভিভাবকের সাথে সাক্ষাত করেন। ১৫ আগষ্ট পৌরসভা সহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পরিদর্শনে যান ও খেচুড়ি বিতরণ (কাঙ্গালী ভোজ) আয়োজনে অংশ নেন। রাশেদ লতিফ যে ওয়ার্ডের নিবন্ধিত ভোটার সেখানে এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম (বর্তমান মেহেরপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান) এর উঠান বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়াতে সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীনের সাথে সুসম্পর্কে চিঁড় ধরে। ২৮ সেপ্টেম্বর পার্কে জেলা যুবলীগের বিশাল জনসভার মঞ্চে উঠে আসন গ্রহণ করেন। ৭ নভেম্বর ২০১৮ রাধাকান্তপুর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় তাফসিরুল কোরআন মাহ্ফিল অনুষ্ঠান হয়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর সাথে গিয়ে সেখানে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে এশার নামাজ আদায় করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন (বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী) নৌকা প্রতিক পেলে দলকে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হতে তার প্রয়াস অত্যন্ত কার্যকরী ও সফল হয়। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের প্রচারণায় তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন ও সোশাল মিডিয়াতে গুজব ও কুৎসার বিপক্ষে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। সাহিত্যের ভাষায় বলতে গেলে- রাজনীতির নদীতে এমনভাবে সাঁতার কেটে ছিলেন যে, শ্বাস নেওয়ার জন্যেও বিরতি নেননি। রাজনৈতিক সৌজন্যতাবোধ, শিষ্টাচার এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরী করে আলাদা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর ২৯ তম জাতীয় সম্মেলনের পর আশা করা হয়েছিলো কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে তিনি নেতৃত্বে আসবেন । তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন। কঠিন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কখনও সাহস হারিয়ে ফেলেননি। এরকম অনেক দুঃসময় অতীতেও তিনি পার করে এসেছেন। মেহেরপুর সদর উপজেলাতে ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ৭২ জন কাউন্সিলর ১০৮ জন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারন সম্পাদক তার ব্যবহার আচরণে সন্তুষ্ট ও মুগ্ধ। রাজনীতির ময়দানে তাদের কাছ থেকে রাশেদ লতিফ উৎসাহব্যাঞ্জক সাড়া পান। ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে ৪০৯০ নং রশিদ মূলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নের জন্য ০৮৩৭ ক্রমিক নং আবেদনপত্র জমা দেন। নৌকার মাঝি হিসাবে তাকে বেঁছে নেওয়া হতে পারে নানান সূত্রে দলের হাই কমান্ড থেকে এমন নির্ভরযোগ্য খবরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিভিন্ন পেপার-পত্রিকা তাকে নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। দলীয় প্রতিক বাদে উন্মুক্ত নির্বাচন হয় এবং মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। ১,৯৩, ৯২০ ভোটার, ৭৭ টি ভোট কেন্দ্র, ৫৫৪ টি বুথ, পোলিং এজেন্ট নিয়োগ সমস্তকিছু পরিচালনা একক হাতে নিয়ন্ত্রন করেন তার বাবা নির্বাচনী চীফ এজেন্ট মো: আব্দুল লতিফ। EVM মেশিনে নির্বাচনি কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়। রিটার্নিং অফিসার মো: ইবাদত হোসেন ২৫ মার্চ ২০১৯ মাইক প্রতিক কে বিজয়ী ঘোষণা করেন। ৪৮, ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯,৭১, ৯০ ইতিহাস তুলে ধরে রাশেদ লতিফ দেওয়াল পোস্টার করেন। সরকারের প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামার ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করেন। কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই বিনামূল্যে জেলার প্রতিটি কলেজে পৌঁছে দেন। বাংলাদেশ বার এ্যাসোসিয়েশন ভোট ও মেহেরপুর আইনজীবী সমিতি ভোটে তার নজরদারী ও তদারকি উল্লেখ করার মতো। রাশেদ লতিফ একজন স্বভাবজাত লেখক ও বাগ্মী হিসেবে খ্যাত। জন্মেছেন  ১৯৯১ সালের ২১ অক্টোবর। মেজভাই সাদিকুজ্জামান ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। এসএসসি তে জেলা ফার্স্ট ও বোর্ড স্ট্যা- করে নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছে। ছোট ভাই আশিকুজ্জামান মিশন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে। মা মোছা: সফুরা বেগম। গ্রামের মেয়ে। গৃহ সংসারে মনোযোগ বেশি এবং সন্তানদের প্রতি অনেক যতবান।

সহধর্মিণী: অ্যাডভোকেট চামেলী খাতুন, এলএলএম, (ইবি) (সদস্য নং-২৬০৭৮, ঢাকা আইনজীবী সমিতি)

কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বী পদপ্রাথী (১নং ওয়ার্ড, মেহেরপুর পৌরসভা) মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন ১৫ জুন ২০২২ (বরাদ্দকৃত নির্বাচনী প্রতিক: উটপাখি) সাধারণ সদস্য, মেহেরপুর চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, মেহেরপুর।

আমদানিকারক, ইজারাদার ও ঠিকাদার, সফুরা কন্সট্রাকশন, মেহেরপুর।

যুগ্ম আহবায়ক, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মেহেরপুর জেলা শাখা। (মন্টু-খশরু কেন্দ্রীয় কমিটি)

শিক্ষানবীশ আইনজীবী, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মেহেরপুর।

সদস্য (কো-অপশনকৃত) এনামুল-মাহাবুব কমিটি, জাতীয় শ্রমিক লীগ মেহেরপুর জেলা শাখা।

ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী পদপ্রার্থী, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ ইং মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ (বরাদ্দকৃত নির্বাচনী প্রতিক: উড়োজাহাজ)

জেলা সভাপতি প্রতিদ্বন্দ্বী পদপ্রার্থী (২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং সম্মেলন) সোহাগ-জাকির কমিটি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মেহেরপুর জেলা শাখা।

সভাপতি, টি.এম.সি.পি. (তৃণমূল ছাত্রপরিষদ) ২০১৫ ইং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পঃবঃ, ভারত।

এ.জি.এস মনোনীত প্রার্থী (৫ম সেমিস্টার, সেকশন-জে, রোল-৬২) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ইং) পঃবঃ, ভারত।

পর্যবেক্ষক, সি.পি., (ছাত্র পরিষদ) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (২০১১-২০১৩ ইং) পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

দাদাঃ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন শেখ, এস আই, (বাংলাদেশ পুলিশ) মুক্তিযোদ্ধা নম্বর-০১৫৭০০০২২৪ (মুবিম)।

LATEST UPDATE

মনোনয়নপত্র তুললেন রাশেদ লতিফ

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে

সংবাদটি দেখুন

বক্তব্যে ঝড় তুললেন রাশেদ লতিফ

তাঁতী লীগের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান রাশেদ

সংবাদটি দেখুন

নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রচারনায় রাশেদ লতিফ

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার পক্ষে গ্রাম-থেকে গ্রামে ঘুরে কাজ করে যাচ্ছে

সংবাদটি দেখুন

উন্নয়নমূলক সৃজনশীল কাজে দক্ষ রাশেদ লতিফের উদ্যোগ

এলাকার উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন রাশেদ লতিফ

সংবাদটি দেখুন

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়া প্রার্থী রাশেদ লতিফ

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রাশেদ লতিফ

সংবাদটি দেখুন

পুলিশ সুপার মহোদয়কে রাশেদ লতিফের বিদায়ী শুভেচ্ছা

মেহেরপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপারকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য

See News

VIDEO GALLERY

CONTACT

ঠিকানা:

স্থায়ী নিবাস

০১ নং ওয়ার্ড, নতুন পাড়া, মেহেরপুর পৌরসভা,
মেহেরপুর সদর, মেহেরপুর-৭১০০।

বর্তমান নিবাস

০৯ নং ওয়ার্ড, স্টেডিয়াম পাড়া, মেহেরপুর পৌরসভা,
মেহেরপুর সদর, মেহেরপুর-৭১০০।

ই-মেইল:

meherpurtown@yahoo.com

ফোন:

+৮৮-০১৭১১-৪৫১-৮৮২

যোগাযোগের জন্যে অনুগ্রহ করে ফরমটি পূরণ করুন